গভীর রাতে চলাচলের সময় পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রভৃতি দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কি হতে পারে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা?
১.চলুন আলোর পথে: রাতে চলাচলের সময় চেষ্টা করুন আলোকিত রাস্তা ব্যবহারের। অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তা থেকে আলোকিত রাস্তা অধিকতর নিরাপদ।
২. স্টেশনে সচেতনতা: বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাটে গভীর রাতে এসে পৌঁছালে বাসায় ফেরার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকুন। গভীর রাতে ট্যাক্সি, সিএনজি অটোরিকশার পরিবর্তে বাস অধিকতর নিরাপদ। ফোনে চার্জ ও ব্যালেন্স পর্যাপ্ত রাখুন। তা না হলে গভীর রাতে প্রয়োজনের সময় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে অসহায় হয়ে পড়বেন। খুব বেশি তাড়া না থাকলে সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন।
৩. অচিন জায়গায় সাবধান: রাতে অচেনা বা অপরিচিত কোনো জায়গা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক থাকুন। স্থানীয় বাসিন্দারা আপনার আচরণে যেন আপনাকে সন্দেহ না করে। ৪. মূল্যবান কিছু সাথে নয়: রাতে চলাচলের সময় দামী মোবাইল, বেশি পরিমাণ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার কিংবা অন্য মূল্যবান সামগ্রী প্রয়োজন না হলে বহন করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. নয় নির্জনে চলাচল: নির্জন স্থানের পরিবর্তে ব্যস্ত সড়ক বা স্থান ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। অন্তত যেখানে লোক চলাচল আছে এমন সড়ক বা স্থান উত্তম।
৬. সঙ্গী রাখুন সাথে: রাতে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে একা না গিয়ে কাউকে সাথে রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনের সময় একে অন্যের সাহায্যে আসবে।
৭. বাইরের খাবারকে ‘না’: রাতে চলাচলের সময় বাইরে বিক্রিত খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করুন। অপরিচিত লোকের দেয়া খাবার ভুলেও খেতে যাবেন না।
৮. নিশ্চিত হয়ে সাহায্য: চলার পথে কেউ সাহায্য চাইলে নিশ্চিত হতে চেষ্টা করুন সাহায্যপ্রার্থী কোনো প্রতারক দলের সদস্য কিনা। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন।
৯. অপরিচিতের ডাকে ‘না: ভাই, একটু এদিকে আসেন। কথা আছে’- অপরিচিত কেউ রাস্তায় এভাবে আপনাকে ডাকলে চট করেই চলে যাবেন না। চেষ্টা করুন আশেপাশে লোকজন আছে এমন জায়গায় থেকে কথা বলার।
১০. ‘সাহায্য’ রাখুন পকেটে: থানার মোবাইল নম্বর সর্বদা নিজের মোবাইল ফোনে এবং মানিব্যাগে সংরক্ষণ করুন যেন প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাহায্য পেতে পারেন। ফোন করতে পারেন ৯৯৯ এ।
উপ-কমিশনার, ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ফেসবুক থেকে নেয়া।